চোখ জুড়ানো ঘুঘু পাখি | sujonarfin.blog

বাংলাদেশের অতি পরিচিত পাখিদের মধ্যে ঘুঘু পাখি অন্যতম
আমাদের দেশে এই পাখি এখন গ্রামাঞ্চলেই দেখা যায়। ঘুঘু পাখি উড়তে পারে বেশ দ্রুত। লোকালয়ের কাছে বসবাস করলেও এরা আড়ালে থাকে। নিজেদের বাসা নিজেরাই তৈরি করতে পারে। ঘুঘু পাখি খুব সুন্দর সুরেলা কণ্ঠে ডাকতে পারে।

ফটোগ্রাফারঃ Mohammad SuJon

ঘুঘু পাখি দেখতে প্রায় কবুতরের মতো। এরা প্রায় ৩০ থেকে ৪২ সেঃমিঃ লম্বা হয়। ঘুঘু পাখির লেজ বেশ লম্বা। কোনো কোনোটির ডানায় ও লেজে কালো রং ও স্পষ্ট ২টি হলুদ ডোড়া দাগ রয়েছে। আবার কোনো কোনোটির লেজের নিচের রং হয় দারুচিনির মতো। ঘুঘুর দেহ ফ্যাকাসে ধূসর, বাদামি ও তামাটে রংয়ের হয়। ঘাড়ে বেগুনি প্রলেপ রয়েছে। ঠোঁট বাদামি ও কালো। এদের প্রধান খাদ্য শষ্যদানা। এছাড়াও খাদ্য তালিকায় রয়েছে বিভিন্ন রকম ফল, বীজ ও গাছের কচিকুঁড়ি। পিঁপড়া ও কীট-পতঙ্গও খেয়ে থাকে।
আদিকাল থেকেই অনেকে শখের বসে ঘুঘু পালন করেন। এই পাখি ২টি করে ডিম পাড়ে। ডিমের রং সাদা ও কিছুটা ফ্যাকাসে। ডিম লম্বায় ২.৬ সেঃ মিঃ ও প্রস্থে ১.৫ সেঃ মিঃ। পুরুষ ও স্ত্রী দুজন মিলেই ডিমে তা দিয়ে থাকে।
এপ্রিল থেকে জুলাই পর্যন্ত এদের প্রজননের সময়। ডিম থেকে বাচ্চা ফুটতে সময় লাগে ১৩ থেকে ১৪ দিন।

Comments

বাঙালি নারী ফটোগ্রাফার

মেয়েদের ফ্যাশনে জিন্স আর শার্ট

পাওয়ার-অব-এটর্নি বা আম-মোক্তারনামা কি ?

আসুন একটু গিরগিটি সম্পর্কে জানি