বাইক রাইডিং এর ১০ টি কিলার টিপস
বাইক রাইডিং এর ১০ টি কিলার টিপস
সবাইকে স্বাগতম । আজ আমি বাইক রাইডিং এর কিছু বেশ সুন্দর টিপস নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হলাম । এই টিপসগুলো প্রোফেশনাল রাইডার ও রেসারদের মতামত থেকেই তৈরী করা হয়েছে । এখানে বাইক রাইডিং এর সেফটি , কর্নারিং , এক্সেলেরেশন , ব্রেকিং ও আরও অনেক বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে ।
১ঃ প্রো রাইডারদের মত ওভারটেক করুন :
বাইক নিয়ে ওভারটেকিং করার সময় কোন প্রকার বোকামী করবেন না । যাকে ওভারটেক করবেন তার পেছনে না থেকে একটা নিরাপদ দুরত্ব বজায় রাখুন । সেই সাথে সামনের একটা ক্লিয়ার ভিউ নিয়ে নিন । সেফ বুঝলেই ফুল এক্সেলেরেট করে ওভার টেক করুন । অবশ্য ওভারটেকিং এর সময় আপনার ব্রেকের উপর পা রাখুন যাতে করে কোন যানবাহন সামনে থেকে চলে আসলে আপনি স্লো হতে পারেন ।
ছবিতেঃ Ornob Khan তুলেছেনঃ Kabbik As King
২ঃ ব্রেকে সেফটি রাখুন:
কোন টাউনে বা যেকোন মোটামুটি ব্যাস্ত রোডে রাইডিং এর সময় সবসময়ই আপনার একটা আঙুল সামনের ব্রেকের উপর রাখুন । এটা হল আপনার সেফটির জন্য । আপনি হয়ত সেফ বুঝেই এক্সেলেরেট করেছেন বা বেশ স্পীডে বাইক রাইড করছেন । কিন্তু যেকোন সময় কোনকিছু এমন রোডে আপনার সামনে এসে পড়তে পারে । তাই , এই বিষয়ে খেয়াল রাখুন ।৩ঃ সিগন্যাল এর দিকে নজর রাখুন : সব ট্রাফিক সিগন্যালের দিকে ভালভাবে নজর রাখুন এবং এগুলো মেনে চলার চেষ্টা করুন । রোড মার্কিংগুলো ভালভাবে খেয়াল করুন । না হলে আপনি হঠাৎ করে কোন স্পীড ব্রেকার এর উপর দিয়ে হাই স্পীডে রাইড করে দূর্ঘটনা ঘটাতে পারেন । এসময় বাইক লো গিয়ারে রাখুন । হাইওয়েতে সব যানবাহনের সাথে
৪ঃ তাল মিলিয়ে চলুন :
কোন রোডে একটা র্যালীর ভেতর বা অনেক বাইক ও যানবাহনের ভেতর রাইড করার সময় আপনি প্রথমে যথেষ্ঠ এক্সেলেরেট করুন । তারপর যখন দেখবেন যে অন্য সব যানবাহনের স্পীডের সাথে আপনার স্পীড সামঞ্জস্য তখন তাদের সেই স্পীডে রাইড করুন । এটা এমন পরিস্থিতিতে অনেক সেফ ।
৫ঃ গিয়ার চেঞ্জ করুন রেসিং স্টাইলে: বাইক এক্সেলেরেট করার সময় খুব দ্রুত এক্সেলেরেট করার প্রাকটিস করুন । এরপর যখন দেখবেন যে ওই গিয়ার আর লোড নিতে পারছে না তখন ক্লাচ না চেপেই গিয়ার চেঞ্জ করুন । এটা অনেক ফাস্ট এবং গিয়ার চেঞ্জ করার সময় কোনরকম বাইক স্লো করে দেয় না যেটা ক্লাচ ধরলে কিছুটা হয় । এতে গিয়ারবক্সের ও কোন রকম ক্ষতি হয় না ।
৬ঃ স্পীড ও গিয়ার:
আপনি যখন বাইকের স্পীড ডাউন করবেন তখন স্মুথ ডিএক্সেলেরেশনের জন্য আপনার গিয়ারও সেই স্পীডের সাথে সামঞ্জস্য রাখুন । না হলে বাইক একটা ঝাড়ি দিতে পারে ও বেশী নয়েজ সৃষ্টি করতে পারে ।
৭ঃ কর্নারিং:
কর্নারিং এর সময় আপনার স্পীড যেমন থাকলে আপনি সুবিধার মনে করেন তেমন স্পীডেই কর্নারিং করুন । পাশে কারও দেখাদেখি বেশী স্পীডে বা আপনার রেঞ্জের বাইরে গিয়ে কর্নারিং এর কোনই দরকার নেই ।
যানবাহনের চাকার দিকে খেয়াল রাখুন:
কোন যানবাহনের কাছাকাছি আসার সময় সেই যানবাহনের চাকার দিকে প্রথমে লক্ষ্য করুন । সেটা কোনদিকে যাবে এটা তার চাকাই প্রথমে ইন্ডিকেট করে । এটার ফলে আপনার দূর্ঘটনার সম্ভাবনা অনেক কমে যাবে ।
৮ঃ নজর রাখুন:
আপনার বাইক যেদিকে যাবে সেদিকেই আপনার নজর রাখা খুব্ই জরুরী । তাই , কোনসময়ই বাইকের যাত্রাপথের বাইরে নজর বা মনোযোগ দিবেন না । এমনকী কোন কর্নারের আপনি যেভাবে কর্নারিং করতে চান সেদিকে ভালভাবে নজর রাখুন , দেখবেন যেটা আপনার কাছে অসম্ভব বলে মনে হয়েছিল আপনি সেই স্পীডেই কর্নারিং করতে পারছেন ।
৯ঃ হাটু কাজে লাগান:
কর্নারিং এর সময় একটা খুবই কমন প্রাকটিস হল আপনার হাটু নীচের দিকে নামিয়ে দেওয়া । ফলে আপনার বডির ভরটা বাইকের উপর কাজ করবে এবং আপনি বাইক নিয়ে বেশ ছোট কোনেও কর্নারিং করতে পারবেন ।
১০ঃ ভেজা রোডে রাইডিং:
ভেজা রোডে রাইডিং এর সময় এক্সট্রা কোন লোড নিবেন না । যেমন খুব বেশী এক্সেলেরেট করু বা হঠাৎ করে হার্ড ব্রেকিং করবেন না । এগুলো টায়ারকে ওভারলোড করে স্লি করাতে পারে । যদিও ভেজা রোডেও যেকোন বাইকের গ্রিপ অসাধারণ কাজ করে , তারপরও পরিস্থিতি বুঝে এক্সেলেরেট বা ব্রেকিং করুন । আর রোড ভেজা থাকলে কর্নারিং এর সময় স্পীড যতটা কমানো যায় ততটা কমিয়ে কর্নারিং করুন ।
#শেয়ার করবেন অবশ্যই,আপনার শেয়ারের মাধ্যমে অন্যকেউ যানতে পারবে :)
Comments
Post a Comment